দোকানের সামনে রক্তে রহস্য Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১১ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




দোকানের সামনে রক্তে রহস্য

দোকানের সামনে রক্তে রহস্য




অনলাইন ডেস্ক: দোকানের সামনে-পিছনের উঠোনে চাপচাপ রক্ত। দেওয়ালেও রক্তের ছোপ। আর দোকানের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এক যুবক। অদূরে গাড়ির ভিতরে ঘুমিয়ে তিন যুবক। মঙ্গলবার সকালে এমন দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠেন তমলুকের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আবাসবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা।স্থানীয় সূত্রের খবর, রূপনারায়ণ-বাঁধের বাইপাস রাস্তার ধারে একটি চায়ের দোকান রয়েছে প্রদীপ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির। তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোরে দোকানে এসে দেখেন, এক ব্যক্তি আহত অবস্থায় পড়ে। আর তিনজন রয়েছে গাড়ি মধ্যে। প্রদীপ বলেন, ‘‘রাত ১০ টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে চলে গিয়েছিলাম। ভোর ৫টা নাগাদ এসে দেখি দোকানের সামনে প্রচুর রক্ত পড়ে রয়েছে। এক যুবক আহত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। গাড়িতে তিনজন ছিলেন। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে পুলিশকে জানাই। কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে জানি না।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় তমলুক থানার পুলিশ। তারা ওই আহত যুবককে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করায়। আর গাড়িতে থাকা তিন যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। পুলিশ জানিয়েছে, রক্তাক্ত যুবকের নাম সন্দীপ পাঁজা। তাঁর বাড়ি তমলুকের রামসাগর জলাশয় এলাকায়। দোকানের পাশে পাওয়া যাওয়া গাড়ির চালক তিনি। আটক হওয়া তিন যুবকেরও বাড়ি তমলুক শহরে। সন্দীপের ডান হাতের আঙুল কাটা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কিন্তু দোকান চত্বরে এত রক্ত আদৌ সন্দীপের কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, সন্দীপ-সহ চারজন গাড়িতে করে জাতীয় সড়কের পাশে একটি ধাবায় খেতে গিয়েছিলেন। রাত ১২টা নাগাদ ওই চায়ের দোকানে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে গোলমালও বেঁধেছিল। প্রাথমিক অনুমান, তাঁর জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতে চায়ের দোকানে কাউকে এনে খুন করে অন্যত্র দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এদিন দুপুরে দোকানের পিছনে একটি পুকুরে তল্লাশি চালায়। বিকেলে আনা হয় পুলিশি কুকুর। পুলিশ জানিয়েছে, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনায় কারও মৃত্যু হয়েছে কি না, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ দিকে, জেলা সদরে এমন ঘটনায় নিরাপত্তা এবং পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠেছে। এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এই বাইপাসের ধারে থাকা দোকানে অনেকে নেশার আসর বসায়। স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস মাইতি বলেন, ‘‘অনেক যুবক এখানে প্রকাশ্যে মদ্যপান করে। পুলিশ মাঝে মাঝে এলেও কোনও পদক্ষেপ করে না। এই ঘটনার জেরে এলাকায় আতঙ্ক বেড়েছে।’’ পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ সেন অবশ্য বলেন, ‘‘ওই এলাকায় মদ্যপানের আসর বসার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশকে আগেও জানানো হয়েছিল। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধরপাকড়ও করেছিল।সুত্র,আনন্দ বাজার

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD